৩১ দফা সংস্কার কর্মসূচি

প্রতিহিংসার রাজনীতির অবসান ঘটিয়ে অন্তর্ভুক্তিমূলক, বৈষম্যহীন বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদের ভিত্তিতে নতুন সামাজিক চুক্তি প্রতিষ্ঠা।

অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন নিশ্চিত করতে নির্বাচনকালীন সময়ে দলনিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনঃপ্রতিষ্ঠা।

নির্বাহী, আইনসভা ও বিচার বিভাগের মধ্যে ক্ষমতার ভারসাম্য; কোনো ব্যক্তি টানা দুই মেয়াদের বেশি প্রধানমন্ত্রী থাকতে পারবেন না।

বিশেষজ্ঞদের নিয়ে উচ্চকক্ষ গঠন এবং সংসদ সদস্যদের স্বাধীনভাবে মত প্রকাশের জন্য ধারা ৭০ সংশোধন।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ আইন সংশোধন; দেশব্যাপী কাগুজে ব্যালট প্রয়োগ; দল নিবন্ধন ও স্থানীয় নির্বাচনের নিয়ম সংস্কার।

দলীয় রাজনীতির ঊর্ধ্বে সকল রাষ্ট্রীয় ও সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান পুনর্গঠন এবং সংসদীয় যাচাইকরণ।

জুডিশিয়াল কমিশনের মাধ্যমে বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিশ্চিতকরণ, পৃথক সচিবালয় এবং বিচারকদের জন্য স্পষ্ট মানদণ্ড।

প্রশাসনিক সংস্কার কমিশন গঠন; সকল সিভিল ও মিলিটারি নিয়োগে মেধা, সততা ও প্রশিক্ষণের ভিত্তি।

মিডিয়া কমিশন প্রতিষ্ঠা; কালাকানুন বাতিল; সৎ ও স্বাধীন সাংবাদিকতার পরিবেশ সৃষ্টি।

দুর্নীতি ও অর্থপাচারের উপর শ্বেতপত্র প্রকাশ; দুদক সংস্কার; ন্যায়পাল নিয়োগ এবং লুটকৃত সম্পদ পুনরুদ্ধার।

জোরপূর্বক গুম ও বিচারবহির্ভূত হত্যার অবসান; মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা; অতীতের অন্যায়ের বিচার নিশ্চিতকরণ।

সুষম বণ্টন ও বৈষম্য কমানোর জন্য অর্থনৈতিক সংস্কার কমিশন গঠন।

সকল ধর্ম ও জাতিগোষ্ঠীর পূর্ণ অধিকার সংরক্ষণ; সংখ্যালঘুদের উপর আক্রমণের শাস্তি।

মুদ্রাস্ফীতি অনুপাতে মজুরি, নিরাপদ কর্মক্ষেত্র, বন্ধ মিলের পুনর্চালু; প্রবাসী শ্রমিক ও প্রান্তিক এলাকার সুরক্ষা।

বিদ্যুৎ ও জ্বালানিতে দায়মুক্তি আইন বাতিল; কুইক রেন্টাল দুর্নীতি বন্ধ; নবায়নযোগ্য জ্বালানি প্রসার; দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণ।

জাতীয় স্বার্থকে অগ্রাধিকার; আন্তর্জাতিক আইনের অধীনে দ্বিপক্ষীয় সমস্যার সমাধান; সন্ত্রাসবিরোধী আইনের অপব্যবহার ছাড়া সন্ত্রাস দমন।

দেশপ্রেমের সাথে প্রতিরক্ষা বাহিনীর আধুনিকীকরণ এবং রাজনৈতিক বিতর্কের বাইরে রাখা।

আর্থিক ও প্রশাসনিক স্বায়ত্তশাসনসহ স্থানীয় সরকারের ক্ষমতায়ন; নির্বাচিত সংস্থার নির্বিচার বরখাস্ত প্রতিরোধ।

মুক্তিযোদ্ধাদের নির্ভুল তালিকা প্রস্তুত; তাঁদের পরিবারের সম্মান ও সহায়তা।

আধুনিক যুব নীতি প্রণয়ন; চাকরি না পাওয়া পর্যন্ত বেকার ভাতা প্রদান; সরকারি চাকরির বয়সসীমা বৃদ্ধি।

নারীদের কার্যকর অংশগ্রহণ নিশ্চিতকরণ; মনোনয়নে নারীদের অগ্রাধিকার; স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও প্রতিনিধিত্বের উন্নতি।

চাহিদাভিত্তিক ও জ্ঞানভিত্তিক শিক্ষা প্রদান; জিডিপির ৫% শিক্ষায় বরাদ্দ; ছাত্র সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠান।

সার্বজনীন স্বাস্থ্যসেবা ("সকলের জন্য স্বাস্থ্য") বাস্তবায়ন; স্বাস্থ্য কার্ড প্রবর্তন; সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী সম্প্রসারণ।

ন্যায্য মূল্যের গ্যারান্টি; ইউনিয়নে ক্রয় কেন্দ্র স্থাপন; ফসল/গবাদিপশু/মৎস্য বীমা প্রবর্তন; কৃষিজমি রূপান্তরে নিরুৎসাহিত করা।

সড়ক, রেল ও নৌপথের আধুনিকীকরণ; বন্দর উন্নয়ন; সমন্বিত বহুমুখী নেটওয়ার্ক নির্মাণ।

জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় টেকসই কৌশল গ্রহণ; বন্যা নিয়ন্ত্রণ, নদী খনন ও দুর্যোগ প্রস্তুতিতে বিনিয়োগ।

আইসিটিকে বিশ্বমানে উন্নীত করা; মহাকাশ গবেষণা ও পারমাণবিক শক্তিতে সহায়তা।

আবাসন ও নগরায়নের জন্য জাতীয় মহাপরিকল্পনা প্রণয়ন; কৃষিজমি ধ্বংস পরিহার; সবার জন্য আবাসন নিশ্চিতকরণ।

বিনিয়োগ অনুকূল নীতি প্রচার, প্রবাসী বিনিয়োগকারীদের সহায়তা এবং সমন্বিত শিল্প অবকাঠামো উন্নয়ন।

সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য, ক্রীড়া ও যুব কার্যক্রমের অগ্রগতি; সাংস্কৃতিক আগ্রাসন প্রতিরোধ।

একটি ন্যায়পরায়ণ, একতাবদ্ধ সমাজ গঠন যেখানে শ্রেণি, ধর্ম বা অঞ্চল নির্বিশেষে সকল নাগরিক সমান মর্যাদা ও সুযোগ ভোগ করবে।